চিন্তাসূত্র
শিল্প-সাহিত্য-সমাজ ভাবনার বাতিঘর
মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০১৫
শুক্রবার, ২২ মে, ২০১৫
ভাসমান স্বপ্নগুলো ।। হেনরী স্বপন
হাতের মুঠোয় মৃত্যু নিয়ে
বিদেশ গিয়ে...
আনবে টাকা কাড়ি কাড়ি :
দিচ্ছিলো তাই মরণ সাগর পাড়ি !
বিদেশ ওদের নেয়নি ভালবেসে ;
নৌকা-ট্রলার ভরতি মানুষ
মরছে অথৈ স্রোতে ভেসে ভেসে !
ধূর্ত-দালাল সব নিয়েছে নিঃস্ব করে
তাই ভাসমান স্বপ্নগুলো রাক্ষুসে খপ্পরে ।
আজাদ বঙ্গবাসী' র কবিতাগুচ্ছ
ঘুমের দাবিতে শরীরের ভাঁজ বিছনাগত হতেই
তুষার ঝড়ের মত ঝড়ে অঝড় কাব্যি
করোটির জেলে কাঁদে
ভাত দৌরাত্মের অভিনয়।
আহা! আরও একজন থাকে
ভালোবাসায় চেয়ে
তার নাম মহাশয় নিবৃত্তে সে একা রয়...
দেহ ভাঁজ বিছনাগত হতেই ঘুমটানে....,কাব্যি টানে.....,
প্রিয় ইশারা টানে.....
প্রিয় ইশারা টানে.....
ভেতরের একলা এক বাউল টানে...
এই একটা তো শরীর দেব আমি কয় জনে |
নিষিদ্ধ পুরুষ
অতগুলো চোখের ভিড়ে অন্ধকার বেঁধে
কি নিপুন ছুরিই না চালালে যৌবতী !
আমার তখন মরণের ডাক বাইরে দাঁড়িয়ে
আরোও একটি প্রেমের বুক উসখুস করছে
গরম জলের অপেক্ষায়।
নৈশ্বের নগরে নিষিদ্ধ পুরুষ তবুও
দুচারটে ডালপালা ভাঙলে হাত
ধরে কাঁদে কবুলের শাড়ি,
সংসারে কঠিন রসায়ন করে বায়না,
এ চন্দ্রগ্রস্থে দেখাকেই হবে তার মানষ পর্ব।
এখানে ওখানে বেবচ্ছেদ করে অন্য ঘরের
অন্য স্বর।
দিনের গোপন তারার মত করেই
মনান্দরে মরে
মরণের সর্বনাশ, ইচ্ছের সব নটবর।
নরকবাদের নষ্টামি
[ উৎসর্গ – কবি রফিক আজাদকে ]
কবি, কার কাছে কব এ কথা
রাস্তা ঘাটে অপিতার ছেলেরা আজকাল
উলঙ্গ আকাশে ডালে হাউসের পানি
ওদের কিছু কন, ওরা কি চায়?
দেশ? নাকি নরকবাদের নষ্টামি?
নৈশ্বের নির্বাস দিনের দারুণে সুখ
ছড়ালে
সরমেরা দ্রুত পালায় ইতিহাসের ভাঁজে।
কবি, ওই উচ্চারণ শুধুই কি- অডারি?
ওতে নাই কি সর্বসাকুল্যের কথা?
ভাত মানচিত্রের সেই চেনা ঙ্কার ধ্বনি
সময়ের পায়ে নমস্য দিয়ে ফিরে কি গেছে
রাজ পোষ্যে? তৃপ্তির অন্তরালে?
কবি, কার কাছে কব আজ এ দুঃখের
পদাবলি |
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৪
আহমেদ স্বপন মাহমুদ ।। বড়লোকের গাড়ির সাথে ছোটলোকের রিক্সা ভ্যান
বড়লোকের গাড়ির
সাথে ছোটলোকের রিক্সা ভ্যান
পাল্লা দিয়া ছুটছে
ভাঙা রাস্তা ভাঙাচোরা
মুখ
বড়লোকি মান ও
যান আর ছোটলোকি প্যাডেলমারা শরীর দুলছে
একসাথেই তারা
চলছে।
বড়লেকের গাড়ি
উইড়া যায় বাতাসের আগে আসমানের মেঘের লগে
ছোটলোক খালি
পিছনে পড়ে, পড়তে পড়তে মরে, বড়লোকে খালি মারে
আর সামনে ও পিছনে
দুলতে থাকে ঝুলতে থাকে একরাশ মিষ্টি গোল্লা
হাওয়া মিঠাই মিশ্রি
বাতাসা
অার ঝুলতে থাকে
কলা ও মূলা ইতিহাসে
আমি না তুমি কে
কারে কত বেশি বাসে
দেয়ালের টিকটিকি
ও ঘড়ি বলতে থাক
আমাদের শরীরগুলা
যা কিছু গোপন প্রকাশ করতে থাক
আমাদের মনগুলা
যা কিছু গোপন অভয়ে বলতে থাক।
অতসব চলা বলা
ও থাকার মধ্যে আঙুলের ফাঁকের সমান ফারাক আছে
ফারাক বাড়তেছে
বড়লোক ছোটলোকে
ফারাক কমতেছে
রাষ্ট্র ও কর্পেোরেটে
ফারাক কমতেছে
জেট বিমান নামতেছে
জোটবদ্ধ রাজনীতি
জমতাছে শীতে
জমতে জমতে বরফ
হয়া যাইতাছে
এখন আমাদের বরফ-আইসক্রিম
খাইবার সময়!
বরফ হয়া যাইতাছে
প্রেম ও বিবাহ বিরহ
এখন কেবল অরোহণের
সময় যে যেভাবে পারে
আঙুল ফুলে কলাগাছ
হও একপায়ে দঁড়ায়া থাক তালগাছ!
আর আঙুল চুষতে
থাক ছোটলোক
সুন্দরবন মারা
যাক কার কী
রামপাল মোটাতাজা
হউক
তীরধনুক মানুষ
মারার মেশিনপত্র আসতে থাক
নাকডাকা ঘুমে
জনগণ আরো খানিকটা ঘুমাক
আমাদের কলে গম
আর ধান একসাথে চলে
আমাদের ক্ষেতে
মাছ চাষ হয় ধানের বদলে
ক্ষেতগুলা চলে
গেছে যার তার হাতে বেনিয়ার চালে
আমাদের মন বলছে
আজ পালিয়ে যাবার দিন
আজ আমাদের পালিয়ে
যাবার রাত কুপোকাত!
কাল রাতে হতে
পারে আমাদের অবৈধ প্রেম
সেই বার্তা তোমারে
কবেই যে জানালেম।
বৈধতা বিষয়ে উকিল
পাড়ায় মহারোল চলছে
মারী ও মড়কে যারা
তা দিচ্ছে তারা ফুটাক
বাঘের বাচ্চা,
অশ্বডিম্ব নিয়া তারা পড়ে থাক
বড়লোকের ঝি ঘুমাক,
ছেটলোকের ঝিয়েরা সারাক বিষবেদনা যত
কত কত ছোট ছোট
ডানকিনা মাছ রুই কাতলা হয়া গেল
কত পাতিহাঁস উড়ে
গেল আকাশে বিমানের লগে
আহা কী সুন্দর
হাঁসের পালক
অপলক তোমার দীর্ঘ
চেয়ে থাকা
ছায়ারা বলে দেয়
গাড়িঘোড়া হাতির
পিঠে চড়া আহা কী সেইসব দিন
কেবলি মলিন হীন
শুধু অমলিন!
কাল রাতের মরণ
হলে কত যে ভালো হত মন
অকাল মরণ
আমাদের মন
ভেজা ভেজা তাজা
তাজা
বিচিত্র সুবাস
ওহো সুন্দরবন!—
তাকে ঘিরে বড়লোক
ও ছোটলোক একসাথে আঙুল চাখে
আর বিপাকে পড়েছে
বিচিত্র প্রাণ বাঘ ও হরিণ
সময়ের ঋণ শুধায়
কে কার স্বজন
কার ধন চোখের
সামনে কে নিয়া যায়
একসাথে চলে ছোটলোকি
রিক্সা ভ্যান আর বড়লোকি গাড়ি
মা রে, দানবের
দেশে কতদূর আমাদের আপনার বাড়ি।
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৪
যুগ্মস্বপ্ন ।। ফাহমিদা ইয়াসমিন
আমার যত স্বপ্ন সবই তোমায় নিয়ে আঁকা.
মনের কোনে ভাসছে আজও কেবল তোমার ছবি
তোমার সঙ্গে যত আমার দিন কেটেছে রাত কেটেছে সব
আজ কেন যে পড়ছে মনে, রঙধনু রঙ ছবি
কোনোদিনই ভেবো না আর আমি তোমার নেই
আমি আছি রঙধুন রঙ, যা শ্রাবণের মেঘে
দেখো তুমি পড়ব ঝরে তোমার তৃষ্ণা পেলে
তুমি আলতো করে ছুঁয়ে দেবে গভীর অনুরাগে!
আমি থাকব তোমার, থাকব তোমার অধীর অপেক্ষায়
তোমার দিনের কাজের ফাঁকে, রাতের ঘুমের ঘোরে
আমার প্রাণের স্পর্শ তুমি করবে অনুভব
আমার মনের আঁকাশ যদি দেখতে প্রিয় তুমি
তুমি ছাড়া শূন্য আমি, শূন্যমরুভূমি।
মনের জন্য মন ।। মনিরা ফেরদৌসী মনি
আজ আমরা জেগে উঠবো সেই জন্য
যে কারন শুধুই মন জানে
মন মানে না কোন বাধা
যেন সব কিছুই নিজের।।
আর নিজের জন্য মন জেগে উঠবেই
সারেক্ষন যেটা ভাবি তাও কিন্তু মন দিয়ে
আর মন বোঝে মনের ভাষা __
তাইত পারি না মনকে বাধা দিতে
মন দিয়েই মনকে ভালবাসি।।
মন চায় সারাক্ষন মনের কাছেই থাকি
যেন মন শুধু মনকেই ছুয়ে চায় __
মনের অজান্তে মনকে এত ভালবাসি
যা আমার অতীতকে বুঝতে দেই না ।।
সারেক্ষন যেটা ভাবি তাও কিন্তু মন দিয়ে
আর মন বোঝে মনের ভাষা __
তাইত পারি না মনকে বাধা দিতে
মন দিয়েই মনকে ভালবাসি।।
মন চায় সারাক্ষন মনের কাছেই থাকি
যেন মন শুধু মনকেই ছুয়ে চায় __
মনের অজান্তে মনকে এত ভালবাসি
যা আমার অতীতকে বুঝতে দেই না ।।
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৪
তিরিশ বছর আগে ।। মনিরা ফেরদৌসী মনি
তুমি কি এখনও আছ তিরিশ বছর আগের মত
পথ চেয়ে কি দাঁড়িয়ে থাক তিন রাস্তার মোড়ে ?
ঘুম ভেঙ্গে জানালায় খুঁজ কি রাতের আঁধারে
চিঠি গুলো কি রেখেছ বই এর পাতার নীচে ?
জেগেছিল শুকতারা তোমার আলতো পরশে
হংস বলাকারা বলে যায় কথা শুনেছ কি তুমি
নির্জনে ঘুঘুর ডাকে আসে নেমে বিরহীর অশ্রুজল
জমে আছে কত কথা বলব যে গানে গানে ।।
তোমারই বিরহে কত নিশি কেটেছে এমনি করে
একা একা বলেছি কথা তারাভরা আকাশের সাথে
বলাকারা উড়ে যায় ঐ দূর নীলিমার পানে ।
তিরিশ বছর কেটে গেল আজ তোমাকে না বলে
ছায়া হয়ে কেউত এল না তোমার মত করে
আছ কি তুমি যেমন ছিলে তিরিশ বছর আগে
শিউলি ফুলের গন্ধ হয়ে তারা ভরা রাতে ...।।
হংস বলাকারা বলে যায় কথা শুনেছ কি তুমি
নির্জনে ঘুঘুর ডাকে আসে নেমে বিরহীর অশ্রুজল
জমে আছে কত কথা বলব যে গানে গানে ।।
তোমারই বিরহে কত নিশি কেটেছে এমনি করে
একা একা বলেছি কথা তারাভরা আকাশের সাথে
বলাকারা উড়ে যায় ঐ দূর নীলিমার পানে ।
তিরিশ বছর কেটে গেল আজ তোমাকে না বলে
ছায়া হয়ে কেউত এল না তোমার মত করে
আছ কি তুমি যেমন ছিলে তিরিশ বছর আগে
শিউলি ফুলের গন্ধ হয়ে তারা ভরা রাতে ...।।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)