রাজার পোশাক
রাজার পোশাক পড়ে প্রজারা
রাজা সেজে বাজারে এসেছে
এই অনভিজ্ঞ অভিলাষ সংকেতময়-
ক্রমাগত লাল ও সবুজ ভেঁপু বাজাচ্ছে।
সমস্ত অসুখ, আগুন ও জ্যোৎস্না
শুয়ে আছে রাত্রির গায়ে
অভিনয়ে!
অনুচিত ক্ষত হয়ে-
রাজার পোশাক পুড়ে প্রজাদের ঘরে!
কাণ্ড
আসুন আমরা পরিণতির কথা ভাবি।
আপাত-কৌশলে যেসব মাছ কাদায় মুখ লুকিয়ে ভাবছে সাফল্য-বৃত্তান্ত,
চূড়ান্ত রোদের আঁচে তারাও জলহীন হয়ে পড়বে ক্রমশ।
যতসব খুন ও উন্মত্ততা অবিকশিত বাজারে
থামবে না নক্ষত্র না দেখা পর্যন্ত।
ক্ষণসময়ের আলেয়া দেখে যারা আলোর মুখোমুখি
তারাও অন্ধকারে ডুবে যাবে অচিরেই।
বাজারে নতুন পোশাকে যারা নেমেছে তারাও অত্যাচারী-
রূপকথার রাজা-উজিরের সাথে আধুনিক মারণাস্ত্রের অনেক তফাৎ।
বুদ্ধির বহর খুলে যারা বাহবা দিচ্ছে বলপ্রয়োগে,
তারাও ডুবে মরবে খুনের নদীতে।
কোনো জল নেই চরাচরে, কোনো পারাপার।
আসুন আমরা পরিণতির কথা ভাবি,
মুখ ভার করে বসে থাকি।
রাজার কাণ্ড দেখে হেসে খিলখিল টিকটিকি!
২৮ ডিসেম্বর ২০১৩
শ্বাসরুদ্ধকর
দম ফেলবার আগে আপনি রাজার অনুমতি নিন।
পা ফেলার আগে পিস্তল ও বন্দুকের নল
তাক করা কিনা দেখে নিন পুনরায়।
আপনি মানুষ কিনা বারবার ভাবুন।
মানুষের পোশাক আইন ও রাজার গায়েই
মানানসই, ভাবছে পামর চাটুকাররা
সমস্ত বুলি তারা রপ্ত করেছে, সাময়িক-
আপনার মাথা সংবিধানসম্মত গুলি ভেদ করবে
আইনি হাতে। আপনি খুন হবেন, অমায়িক!
শ্বাসপ্রশ্বাসের আগে ছাড়পত্র নিন
কথা বলার প্রাক-অনুমতি
আইনি হাত যত লম্বা আপনার তত খাটো।
ক্ষমতাপন্থি না হলে আপনি মানুষ কিনা বারবার ভাবুন।
পরিস্থিতি বদলাবার আগে আপনি মানুষ নন;
আপনার পোশাক সংবিধান ও রাজার গায়ে
আইনসম্মতভাবে হাসছে, এমনকি এই শীতকালেও।
পরিস্থিতি বদলাবার পর আপনি মানুষ হয়ে উঠুন।
২৮ ডিসেম্বর ২০১৩
শঙ্কার শীতকাল
চরম বিপদগ্রস্ত না হলে কেউ আঙুল চুষতে চায় না।
আমাদের এখন ঘটা করে আঙুল চুষবার পালা।
অনন্যোপায় সমবেত তর্জনী নুয়ে পড়লে
খুন ও নৃশংসতায় হেসে ওঠে চেতনাসকল!
শীতকালে কুয়াশার ভয়, অনাচার কম নয় জেনে
তোমার দিকেই হেলে রয় মাঝে মাঝে তৃষ্ণার অধর;
ডর ও লড়াই প্রতিকূলে, মন তাই ফলমূলে যেতে চায়
সন্ধ্যায় আগুনে পোড়ার ভয় এড়িয়ে
আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে ফলমূল-
শীতকালে মদ, ফল ও তার নিপল ভালো লাগে!
আঙুল চুষার বদলে এই কাজটি অনেক মহৎ
স্বৈরিণী সময়ে তোমার কাছেই সকল পরাজয়,
দেশ শঙ্কায়, কী জানি কী হয়!
২৭ ডিসেম্বর ২০১৩
চিহ্ন
তৃতীয় চোখে তুমি নাসপাতি
অপর পৃথিবী- চিহ্ন ছেড়ে জেগে ওঠেছো
পানশালার বাইরে- সুপক্ব মিহি ত্বক ছেড়ে
মহাজাগতিকহীন।
আমি ইন্দ্রিয় পরায়ন, ঘ্রাণ থেকে
মাংসাসী পযর্ন্ত রিপুর কারিশমা
দেখে আশ্চর্যবোধক চিহ্ন হয়ে
অতীন্দ্রয়তায় পড়ে থাকি!
তৃতীয় চোখ দেখে বুঝতে চাই
জগত ও বহির্জগতে নোঙর করা
জাহাজের মাস্তুল কতটা ইর্ষা পরায়ন!
তৃতীয় পক্ষ চিহ্নের অধিক সমীচীন জেনে
হাসিচিহ্নগুলো বারবার চিমটি কাটছে, কটাক্ষে
নাসপাতি হাসছে।
ডিসেম্বর ২০১৩
রাজার পোশাক পড়ে প্রজারা
রাজা সেজে বাজারে এসেছে
এই অনভিজ্ঞ অভিলাষ সংকেতময়-
ক্রমাগত লাল ও সবুজ ভেঁপু বাজাচ্ছে।
সমস্ত অসুখ, আগুন ও জ্যোৎস্না
শুয়ে আছে রাত্রির গায়ে
অভিনয়ে!
অনুচিত ক্ষত হয়ে-
রাজার পোশাক পুড়ে প্রজাদের ঘরে!
কাণ্ড
আসুন আমরা পরিণতির কথা ভাবি।
আপাত-কৌশলে যেসব মাছ কাদায় মুখ লুকিয়ে ভাবছে সাফল্য-বৃত্তান্ত,
চূড়ান্ত রোদের আঁচে তারাও জলহীন হয়ে পড়বে ক্রমশ।
যতসব খুন ও উন্মত্ততা অবিকশিত বাজারে
থামবে না নক্ষত্র না দেখা পর্যন্ত।
ক্ষণসময়ের আলেয়া দেখে যারা আলোর মুখোমুখি
তারাও অন্ধকারে ডুবে যাবে অচিরেই।
বাজারে নতুন পোশাকে যারা নেমেছে তারাও অত্যাচারী-
রূপকথার রাজা-উজিরের সাথে আধুনিক মারণাস্ত্রের অনেক তফাৎ।
বুদ্ধির বহর খুলে যারা বাহবা দিচ্ছে বলপ্রয়োগে,
তারাও ডুবে মরবে খুনের নদীতে।
কোনো জল নেই চরাচরে, কোনো পারাপার।
আসুন আমরা পরিণতির কথা ভাবি,
মুখ ভার করে বসে থাকি।
রাজার কাণ্ড দেখে হেসে খিলখিল টিকটিকি!
২৮ ডিসেম্বর ২০১৩
শ্বাসরুদ্ধকর
দম ফেলবার আগে আপনি রাজার অনুমতি নিন।
পা ফেলার আগে পিস্তল ও বন্দুকের নল
তাক করা কিনা দেখে নিন পুনরায়।
আপনি মানুষ কিনা বারবার ভাবুন।
মানুষের পোশাক আইন ও রাজার গায়েই
মানানসই, ভাবছে পামর চাটুকাররা
সমস্ত বুলি তারা রপ্ত করেছে, সাময়িক-
আপনার মাথা সংবিধানসম্মত গুলি ভেদ করবে
আইনি হাতে। আপনি খুন হবেন, অমায়িক!
শ্বাসপ্রশ্বাসের আগে ছাড়পত্র নিন
কথা বলার প্রাক-অনুমতি
আইনি হাত যত লম্বা আপনার তত খাটো।
ক্ষমতাপন্থি না হলে আপনি মানুষ কিনা বারবার ভাবুন।
পরিস্থিতি বদলাবার আগে আপনি মানুষ নন;
আপনার পোশাক সংবিধান ও রাজার গায়ে
আইনসম্মতভাবে হাসছে, এমনকি এই শীতকালেও।
পরিস্থিতি বদলাবার পর আপনি মানুষ হয়ে উঠুন।
২৮ ডিসেম্বর ২০১৩
শঙ্কার শীতকাল
চরম বিপদগ্রস্ত না হলে কেউ আঙুল চুষতে চায় না।
আমাদের এখন ঘটা করে আঙুল চুষবার পালা।
অনন্যোপায় সমবেত তর্জনী নুয়ে পড়লে
খুন ও নৃশংসতায় হেসে ওঠে চেতনাসকল!
শীতকালে কুয়াশার ভয়, অনাচার কম নয় জেনে
তোমার দিকেই হেলে রয় মাঝে মাঝে তৃষ্ণার অধর;
ডর ও লড়াই প্রতিকূলে, মন তাই ফলমূলে যেতে চায়
সন্ধ্যায় আগুনে পোড়ার ভয় এড়িয়ে
আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে ফলমূল-
শীতকালে মদ, ফল ও তার নিপল ভালো লাগে!
আঙুল চুষার বদলে এই কাজটি অনেক মহৎ
স্বৈরিণী সময়ে তোমার কাছেই সকল পরাজয়,
দেশ শঙ্কায়, কী জানি কী হয়!
২৭ ডিসেম্বর ২০১৩
চিহ্ন
তৃতীয় চোখে তুমি নাসপাতি
অপর পৃথিবী- চিহ্ন ছেড়ে জেগে ওঠেছো
পানশালার বাইরে- সুপক্ব মিহি ত্বক ছেড়ে
মহাজাগতিকহীন।
আমি ইন্দ্রিয় পরায়ন, ঘ্রাণ থেকে
মাংসাসী পযর্ন্ত রিপুর কারিশমা
দেখে আশ্চর্যবোধক চিহ্ন হয়ে
অতীন্দ্রয়তায় পড়ে থাকি!
তৃতীয় চোখ দেখে বুঝতে চাই
জগত ও বহির্জগতে নোঙর করা
জাহাজের মাস্তুল কতটা ইর্ষা পরায়ন!
তৃতীয় পক্ষ চিহ্নের অধিক সমীচীন জেনে
হাসিচিহ্নগুলো বারবার চিমটি কাটছে, কটাক্ষে
নাসপাতি হাসছে।
ডিসেম্বর ২০১৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন