খোয়াব
ধুলোমাখা মুখে সামনে আর ঘুরঘুর করিও না শব্দবিতান।
এবারের শীত- বসন্ত থেকে মুক্তি নিয়ে তোমার উঠোনেই সাঁতরাবে
বিদ্যুতমুখী রোদ বালুসংগ্রামের জায়নামাজ ছিঁড়ে চিঁড়ে
শ্রেণি বৃত্তান্ত তৈরি করছে আর রাশিচক্রের কোলবালিশে
লুকিয়ে আছে কৃষ্ণসমাজ।
অঙ্গছেদের পুরোহিত রাধার বিছানায় তুমিও শিশু।
দৈঘ্য-প্রস্তের জীবনে অলংকারের পেলবতা খুঁজে বেড়ানো বোকামীই বটে!
রেডিও
তুমিতো রেডিও দুঃখের গীতবিতান
লাজুক সম্ভ্রমে জেগেই থাকো পুষ্পিত পিরামিডে-
বর্ণগুহায় মৈত্রীয় আখ্যান ভুলে সিথানের কথকচাবীতে-
দুঃখতো মাসতুত বোন-স্বপ্নে আসা পরি- অথবা সকালের সংবাদ পাঠিকা।
দুঃখেরা স্বপ্নে ঘুরে-
ময়ূর সঙ্গম বাজায় প্রীতির অভ্যন্তরে।
তুমিতো রেডিও বেজে চলো সুখে-অসুখে...
ঘুম শব্দটি
তোমাকে কি আমি কখনো চিনতাম?
তাহলে তুমি মধ্যরাতে জোনাকির শরীর নিয়ে হাজির হও কেনো?
নিগুরভাবেআমার দিন-রাত পর্যবেক্ষণ করো।
কিন্তু আমি কিছুই বলতে পারি না।
তোমার আর হাওয়াই মানুষের জীবন দেখে দেখে পঁচে যেতে ইচ্ছে করে-
চিৎকারের সক্ষমতা যেদিন থেকে হারিয়েছি
সেদিন থেকেই তোমার আনাগোনা বাড়ছে।
তোমার আজব নৃত্য দেখে অসহয় আমি হাইতুলি,
ঘুমিয়ে পড়ার চেস্টা করি।
কিন্তু এখানের অভিধানে ঘুম নামের কোনো শব্দ নেই!
প্রেমতলা
প্রেমতলার যুঁতসই একটা গল্প ছিলো যা আসমানে উড়ে জমিনেও হাঁটে কিন্তু দূভাগ্য কাকড়ার নকশীকাথা ছাড়া আর কিছুই পেলাম না। শুধু নড়িয়ার বুক পকেটে পুরানো অর্থের অজ্ঞাত বসবাস আর আফ্সোসের সিথানে র্নিঘুম নাবালক প্রেমিক।
তখনো নায়িকাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি জাজিরাÑ নাওডুবায়।তাও প্রেমতলার শরীরে মোলায়েম স্পর্শে কামের উষ্ণতা জেগে উঠেছিলো। অশরীরী মাদকতায় হেসেছে ঘাসের ডালপালা।
এরপর থেকে বিবস্ত্র প্রেমতলার বুকজুড়ে স্বপ্ন স্বপ্ন ঘুম মুছে গেলো। আর শান্ত উরু জুড়ে সহাস্যে তাকিয়ে থাকলো সমুদ্রের ঢেউ। আজকাল আমার চিন্তাজুড়ে শুধুই প্রেমতলা- বিয়োগে বিয়োগে দেউলিয়া যে টালীজীবন তাকে প্রেমতলার গল্প শুনাই। আর ছইহীন মনের নাওয়ে জোছনার কামকলা আঁকি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন