অনুভব --৯
প্রথম ঢেউয়ের স্পর্শে জেগে উঠে ঘুমন্ত পার
দ্বিতীয় ঢেউ কি পারে তেমনি ঘুম পাড়াতে?
তবুও ঢেউয়ের পর ঢেউ সাজে সাজায় বনভুমি
প্রলম্বিত বৃষ্টির নরম ঠোঁটে লেগে থাকে মুখরিত বর্ষণ
প্রমত্ত সাগর যখন বৃষ্টির সাথে অবগাহন করে
তখন অবোধ চোখে অবিরত ধারা উদাস বাতাসে
নিজের ছবি আঁকে; জলে পড়ে না ছায়ার প্রতিচ্ছবি
আষাঢ়ের অনুপ্রাস হৃদয় খরায় পুড়ে পুড়ে খাঁটি
রোদ বৃষ্টির ষড়যন্ত্রে বিব্রত প্রেমপত্র ক্রমশ দিক বদলায়
ছুটে আসা অলৌকিক ঘর উষ্ণ বেদনায় মলিন
সময়ের খেলায় দূরত্ব আরও বাড়ে ;সুমুদ্র-পানি- পার
কে কার আপন ? কার জন্য কে?
কেন বুঝিনা মেঘেরা কেন রঙ বদলায়!
এবার নোঙ্গর ফেল; যতটুকু পেয়েছি তাই থাক
চোখের জলের মতো একান্তই নিজের হয়ে...
অনুভব --১০
ফিরতি পথে পা বাড়ালাম
পেছনে অনবদ্য কিশোরী বেলা ম্লান মুখে বৃষ্টির জলে
লুকানোর বৃথা চেষ্টা ... গ্রামীণ জীবন নয় মফঃস্বলীয় আডম্বরে
ঠায় একা ... কীভাবে সোনালী অতীত হারিয়ে যায়
আজো জানিনি অনিমেষ চোখ কি খোঁজে
কেন ও চোখের কোনে শাদা অভিমান নীরবে অশ্রুপাত করে
যতবার পেছনে ফিরি ততবারই খাঁচার দুয়ার রুদ্ধ হয়
একটু একটু করে সরে যাই জড়ানো দিনের মোহনীয় জাল ছিঁড়ে
একবার তো বলতে পারতে... যেওনা ...
হুড়মুড় বৃষ্টি কোলাহল ছেড়ে লুটিয়ে পড়তো কোলে
না হয় কিছুটা সময় আঁকড়েই ধরতে অনাহুত ভেবে উপেক্ষা করতে
তবুও নিশিগন্ধার মতো লেগেই থাকতাম আবশ্যকীয় উপকরণ হয়ে
দমকা বাতাস কেন এতো কাঁদাও বলতো নাড়ীর টান ছেঁড়া যায় ?
রক্তের নাচন যে মুদ্রাতেই থাকুক তা অচেনা হয়?
বনের পাখি শেকলে বাঁধা পড়ে না সহজে জানি
খাঁচার পাখিও যাবেনা কখনো শেকল ছিঁড়ি ছিঁড়ি
পাঁজর ভাঙা আর্তনাদ আকাশের দেয়ালে প্রতিধ্বনি তুলে
ওভাবে তাকিয়ো না ...ভেজা বৃষ্টি চোখের পাতা চুমে যায়
প্রকৃতিতে তুমুল আলোড়ন চলো অনেক দূর যেতে হবে ...
ক্লান্ত পা কোথায় রাখি...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন