কফিন
ভোর হয়নি আজ, লাশঘরে শুয়ে
আছে হরিণরাত
কফিহাউজের তেতো ধোঁয়া পাশ কাটিয়ে
যুগল পা হাঁটছে বহুবিধ গন্তব্যের দিকে
স্নানঘরে উচ্ছল জলের পতনগুঞ্জন, সঙ্গীতময় শব্দে
কপাট ঝাপটে উড়ে যায় উদাস জানালারা
শহরের মাংসবিতান সাজিয়েছে কেউ রক্তজবায়
অন্ধকার ছায়ায় বিঁধে আছে গাছগুলি সুনামুখি সুইয়ের মতো
শববাহক নয়, নিছক কফিনের
কারিগর তারা
তবু কাঁধে নেয় খসে পড়া ছায়ার
শবদেহ
গুহামুখ পেরিয়ে আরো দূর হেঁটে গেলে
নির্জন চাঁদের গোরস্থান
বুনোফুলের বেগানা সুবাসে জেগে উঠে বিদেহী আত্মারা
চাঁদের
গোরস্থান, রাতভর পুষ্পিত আত্মাদের ঘ্রাণ
শীতের টোটেম
বিরামহীন উড়ালপথ ও পরিত্যক্ত আকাশ বেয়ে
তারা আসে নিস্তব্ধ বরফের মানচিত্র থেকে
পালকে গুঁজে থাকা ছেঁড়াফাড়া মেঘ ঝাড়ে,
আমাদের ঝুলবারান্দায় টুপটাপ ঝরে তবু
গত মাসের উপচানো
কিছু রঙিন রোদ
চিলেকোঠার তীব্র শীত
ছড়ালে রুগ্ন হাওয়ায়
উলের দস্তানায়
নিথর আঙুলি মরে যায় ছায়া সমেত
যারা আসে অনুগ্র সূর্যে ঝলসানো আধপোড়া ডানা নিয়ে
শিশির ভাঙিয়ে শষ্যের দানা আনে তারা
রাতভর দাঁতফুলের ঘ্রাণ,
কুয়াশায়
ভিজে জবুথবু ঘুম তাদের,
হায়, তিমির নিবিড়
অন্ধকার শীতের টোটেম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন