বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০১৪

নাজনীন খলিল

ছুরিটা ঝুলে আছে শূন্যে

মমীঘরে রাখছি তুলে নরম পাপড়িগুলো।
 কিছুতেই মাতাল হবোনা আজ আর
 ভাবতেই--দুই পা টলোমলো ;ভুল হলো নাচের মুদ্রায়।
 যে সব তীক্ষফলা শূন্যে ঝুলে থাকে ; শূন্যেই মানানসই,
 ঝলসানো রোদে শুধু রংধনুর বিভ্রম তৈরি করে ; লক্ষ্যভেদী নয়।
 ট্রাপিজের খেলা দেখি ধুন্ধুমার সার্কাসঘরে 
দড়ির এমাথা ওমাথা ঘুরে ঘুরে সেই শুরুতেই ফিরে আসা
' খেল খতম, পয়সা হজম' ।
 হিমঘরে তৈরি আছে ঠান্ডা কফিন
চকমকি পাথর এবং ধারালো তলোয়ার।
 শীতলনিদ্রায় যাবার আগে জেনে নিতে হবে 
তীরগুলো কি শুধু পাখির বুকের মাপেই তৈরি হয়। 


কিচ্ছু যায় আসেনা

বারান্দায় কুকুরের লেজের মতো বাঁকা একটা ছায়া পড়ে আছে।
ক্লীব হয়ে যাচ্ছি।কিছুতেই যায় আসেনা কিছু।

সময়কে পাখীর মতো খাঁচায় ঝুলিয়ে রাখি
খেয়ালখুশীমতো দোল খেয়ে যাক।
কিছুই যায় আসেনা।

উঠোনে ঝুলিয়ে রাখি পোড়ালাশ ,সার্কাসের ক্লাউনের মতো।
লাশের কি আসে যায় মানুষের বীভৎসউল্লাসে?

কি দরকার এতো প্রাযুক্তিক উৎকর্ষের হৈ চৈ ;
মায়ের ছেলে যদি মাঝনদীতেই হারিয়ে যায় বাড়ী ফেরার পথে?
সময় হেঁটে যাচ্ছে তমসাচ্ছন্নজঙ্গলের দিকে,
সভ্যতার পোশাক আশাক খুলে ফেলে,
আদিমগুহার পথে হাঁটছে মানুষ।
অথবা
আস্ত একটা অন্ধকারবনই উঠে এসেছে জনপদে।পশুর অভয়ারণ্য।

লাল টেলিফোন পাশে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছো শীতাতপ ঘরে?
গহনঅরণ্য থেকে হা-মুখ অজগর আসছে ছুটে।
শুনতে পাচ্ছো? কিচ্ছু যায় আসেনা?
এখানে জীবন যেন জলে ভাসা তুচ্ছ খড়কুটো
যেমন তেমন ভেসে যাক বাতাসের তোড়ে,
হা-ঘরে মানুষগুলো বাঁচুকমরুক ;কিচ্ছু যায় আসেনা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন