বাস্তবতা
মূলতঃ সন্ধের আগে শয়তান বনে যেতে হয়
খালি পায়ে ঢুকে পড়ি হেরেমে হেরেমে
বহুচর্চিত ক্রীড়ায় মত্ত বাঁশিগুলো বাস্তবতাকে বোঝায়
দিনগুলো রক্ষিত আছে থাকবে যত্নে!
এভাবেই ভুলিয়ে রাখছে আসলে রসবোধের যজ্ঞে।
মূলতঃ তোমার কাছে আমার ভাবনা
একটুকরো শান্তনা, একবার পড়ে দেখো এই ভেবে
লিখছে যখন বেঁচে থাকুক স্বপ্নটা।
কথা ছিল
ধরে এসেছে বৃষ্টি তবু অন্ধকার
প্লাবিত যুগল পাতা
সুধাময়ীর পায়েতে লেগে আছে।
নুপুর আছে যে! ভিজে চুপচুপ!
আসলে কদম চাই, অনেকক্ষণ থেকেই
চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বলি! এখনো সবুজ পাপড়ি মেলেনি
পূর্ণ হলে নিয়ো না হয়! মুখটা কালো
মাথা দোলায়, বুকের কাছে
ব্যাকুল বাতাস, জলের ভেতর পা বাড়ালো।
হটাৎ করে ফিরে তাকিয়ে ভ্রমর চোখে
রোদ দেখালো, আমিই তবে
ভুল করেছি। জলের ফুলে কথা ছিল।
ছুটদাগ
হীমসূত্রে দীর্ঘ ঘুম। আঁকতে আঁকতে চলে যাই
বাতাসের ঢালে ঘাড়ের গামছা নড়ে ওঠে
তন্দ্রাচ্ছন্নে মৌরসি হালের দখল ফলাই।
আমার নবাব শীষ দিয়ে গান গায়
লাজুক ঘোমটা টানা হাসি। তার কাছে
একটা নদীর স্বপ্ন রাখি।
ইট ক্ষয়ে আমগাছের গোড়ায় পড়ে আছে যাদুঘর
দেখছি অনেকক্ষণ ধরে
কফি হাতে তুমি দিয়ে গেলে ফর্দ
নরখাদকের দিন।
তাল-লয়
তাল লয় কাছিমেরো আছে
দিনকে দিন যেভাবে করে যাচ্ছো প্রপাগান্ডা সমাচার
বাদশাহী ঢংএ মেতে ওঠো তীক্ষ দৃশ্যাবলী মেপে।
সেসব পথে তোমাকে দেখি
খরগোশ হয়ে গাজরের ক্ষেত করছো সাবার।
গুরু! পিছলে পড়ার ভয় তোমারো আছে, নিমেষে গ্রাস!
তাই উপড়ে ফেলতে চাও
নক্ষত্র আবাদ, মুহূর্তের দীর্ঘকায় রূপে কর নিসর্গ বিষাক্ত
আমি তখন আদর করি
তোমার লালিত স্বপ্নের বাগান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন