বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৪

তৃষ্ণা ।। রেজাউল করিম রনি


জলাগ্নিতে জ্বলে জ্বলে চিনেছি জন্মের ঠিকানা
শরীরি সাঁতার শেষে বেড়ে গেলে তৃষ্ণা
তুমি নদী নও, পাহাড় নও,
নও তুমি গূঢ় ভাজের বন, তুমি
মৃদু ঝর্ণা হও।

ঝর্ণার জল ব্যাদনার মতো শীতল, অগহীন অতল
মেটেনা তৃষ্ণা তবুও, মানুষের জীবন কেবলই ভ্রমণময়
ঝর্ণা তুমি স্থানের জ্যামিতিতে বহমান, কালের নিয়মে যাও মরে
পলে পলে পলকে, মূহুর্তের ঝলকে, কি এক কুটিল তৃষ্ণা যে
নানা অব্যক্ত ভাষার ছলে, ঢেউয়ের মতো জাগে মৃদু মৃদু।
অনিঃশেষ তৃষ্ণা নিয়া মানুষ কী খুঁজে তাইলে! কালে- মহাকালে
আয়েশী ভ্রমণে, ঝলকে ঝলকে, কোন অচিন তৃষ্ণা তারে তাড়া করে?
আমি তো দেহে ধরেছি অমৃত শ্রী-ধারা -অকালে।
২.
সব আয়োজন ফুরালে, দুরন্ত সাঁতারে ক্লান্ত হলে পাখনা
থেমে গেলে ঝর্ণার ঝিরিঝিরি তরঙ্গচলন --খাকে তবুও তৃষ্ণা
বনের ভাজ খুলে নিরবতা ডাকে অভাষ্যে, আমি ফিরি স্থির অটল
তোমার সবুজ জাহানে।
অটল সবুজে নাই হঠাৎ ঝড়ের জ্বালা
নাই নদীর খেয়ালী ঝাপটা
কেবল সীমাহীন স্থীরতার মাঝে
ভালোবাসার মতোন জন্ম নেয় হরেক অর্থের ফুল।
হে প্রলম্বিত শান্তনার ঝর্ণা, তুমিও তো নও শেষ ঠিকানা
তোমার তো আর কোন ভাষা নাই জল ছাড়া
তুমি কি বুঝ নাই আজও পাথরে লুকানো আছে আগুনের ঘুম
অগ্নিশিখার ব্যাদনার ভাষা কি শুনেছ কি কোন দিন
--এ কেমন খল খল বহতাচারীতা?
এইসব বাতাস অার প্রচন্ড উড়াল-জীবন আছে মানুষের
পাখনার ভারে, ভ্রমণে ভ্রমণে, ক্লান্ত হয় পথিক।
পাড়ে পাড়ে পানির ধাক্কায় জ্বলের স্বচ্ছতা কিছুটা ক্ষীণ হলে
জীবন জন্মের নিয়মে পেতে চায় সবুজের ঠিকানা।
পাহাড়ে মাতি নাই, বৃষ্টির আয়ু না জেনে ভালোবেসে বসে থাকি
-অনাদির চাতক।
৩০/১০/১৪

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন